ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম নথিভুক্ত করল নলহাটির একরত্তি শিশু কন্যা

ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে তাক লাগিয়েছে একরত্তি শিশু কন্যা। নলহাটি পুরসভার অশোক পল্লির মণ্ডল বাড়ি এখন দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। পাড়া প্রতিবেশী থেকে শহরের মানুষ এখন একরত্তি শিশু কন্যাকে চোখের দেখা দেখতে বাড়িতে উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেছেন।

বীরভূমের নলহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকপল্লির বাসিন্দা সুদীপ্ত মণ্ডল। পেশায় একটি বেসরকারি কলেজের কর্মী। স্ত্রী নলহাটির সিংহবাহিনী পাড়ার বাসিন্দা লিমা সূত্রধর মণ্ডল নিপাট গৃহবধূ। তাদের আড়াই বছরের মেয়ে সমর্পিতা মণ্ডল ২০২৩ সালের ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম নথিভুক্ত করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

পরিবার সূত্রে, ২০২১ সালের ২ মে  জন্ম তারিখ অনুযায়ী এখন ওই খুদে শিশু কন্যার বয়স প্রায় আড়াই বছর। এই আড়াই বছর বয়সেই ওই শিশু কন্যার মুখে শোনা যায় সরস্বতী মন্ত্র ও কৃষ্ণ মন্ত্র সহ বিভিন্ন সংস্কৃত ভাষার মন্ত্র। এছাড়াও তার মুখস্থ রয়েছে ইংরেজি এবং বাংলার একাধিক ছড়া। এই দেখেই তাক লেগেছে এলাকাবাসীর। বাবা-মা তাদের মেয়ের এই প্রতিভা দেখে অন-লাইনে আবেদন করেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। তাদের নিয়ম মেনে পাঠানো হয় সমস্ত তথ্য। এমনকি অন-লাইনে মেয়ের প্রতিভার পরীক্ষা নেয় সংস্থা। তারপরেই ২০২৩ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম নথিভুক্ত হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে পদক, শংসাপত্র পাঠানো হয় নলহাটির মণ্ডল বাড়িতে। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত পরিবার। বিষয়টি জানাজানি হতেই অশোকপল্লির মণ্ডল বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ।

লিমা সূত্রধর মণ্ডল বলেন, “আগে মোবাইলে দেখতাম কত ছেলেমেয়ে প্রতিভার জন্যই দেশবিদেশে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। উজ্জ্বল করেছে নিজের শহর এবং বাবা মায়ের নাম। তখনই আমার সুপ্ত ইচ্ছে জন্ম নেয়। ঠিক হয় আমাদের সন্তান হলে তাকেও তেমনটা করার চেষ্টা করব। সেই মত করে এক বছর বয়স থেকে মেয়েকে খেলার ছলে কৃষ্ণ মন্ত্র, সরস্বতী মন্ত্র শেখাতে শুরু করি। ইংরেজি ও বাংলা কবিতা পরে শোনায়। প্রতিভার জেরে মেয়ে সেই সব মন্ত্র, কবিতা রপ্ত করে ফেলে। এরপরেই আমার স্বামী ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে আবেদন করে। সেই আবেদনে মেয়ের প্রতিভার দেখে যোগ্য সম্মান দেয় ওই সংস্থা। আগামি দিনে মেয়ের আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আশা করছি। এর জন্য চায় সবার আশীর্বাদ”।

সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, “মেয়ের এই প্রতিভার কারিগর ওর মা। আমি সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকি। যেটুকু সময় পায় মেয়েকে দেখায়। আগামি দিনে চেষ্টা করব মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ”।

আরো পড়ুন