জাতিভেদ দূর করে মা সন্তান সম্পর্ক গড়ে দিলো সততা

জাতিভেদ দূর করে মা সন্তান সম্পর্ক গড়ে দিলো সততা

অমলেন্দু মন্ডল, বীরভূম

আনুমানিক চার লক্ষ টাকার গয়না পেয়েও একমাস বাদে, ফেরত দিলো, মুসলিম দম্পতি। রামপুরহাট থানার পাকুড়িয়া গ্রামের চাল ব্যবসায়ী বরকত আলী ও তার স্ত্রী জহিরুন্নেসা বিবির কাছে পাশের গ্রাম হরিহুকা র বাসিন্দা কুমুদ রঞ্জন মন্ডল, রেশনে পাওয়া চাল বিক্রি করেন একমাস আগে, সে সময় কুমুদ বাবুর স্ত্রী অপর্না মন্ডল ছিলেন না, তিনি তার বাবার শ্রাদ্ধের কাজে বাপের বাড়ি চলে যান, যাবার সময় তার সমস্ত গয়না চালের মধ্যে লুকিয়ে রেখে যান, সে কথা তার স্বামী কেও জানান বলে অপর্না দেবী জানান, কিন্তু তার স্বামী র সে কথা খেয়াল না থাকায় চাল বিক্রি করে দেন, ওই ব্যাবসাদার কে।
বৃহস্পতিবার অপর্না মন্ডল বাড়ি ফিরে চালের ড্রামে চাল নাই দেখে তার স্বামী কে জানতে চান চাল কোথায়? স্বামী অকপটে জানান চাল তো বিক্রি করে দিয়েছি, আর গয়না? তখন তাঁর স্বামী বলেন সেটা তো দেখিনি, শুনেই অপর্না মন্ডল কান্নাকাটি শুরু করেন, এবং পাশের গ্রামে চাল ব্যবসায়ী র কাছে জান, চাল ব্যবসায়ী বরকত আলী, তাদের আশ্বাস দেন গহনা তাদের কাছে আছে তবে তার স্ত্রী জহিরুন্নেসা আজ বাপের বাড়ি গেছেন, তিনি ফিরলেই গহনা পেয়ে যাবেন, সেই মতো শুক্রবার সকালে ই অপর্না মন্ডল ও তার স্বামী কুমুদ রঞ্জন মন্ডল, বরকত আলী বাড়ি তে যান, বরকত বাবুর স্ত্রী জহিরুন্নেসা বিবি তাদের হাতে গহনা ফেরত দিয়ে, জানান তারা যে দিন গহনা পেয়েছেন সেদিন থেকেই আল্লাহ র কাছে প্রার্থনা করেছেন, যার গহনা সে যেন ফেরত পান, অন্যের জিনিসে তাদের কোন লোভ নেই, তাদের এই সততায় আপ্লুত অপর্না দেবী ও কুমুদবাবু, বরকত আলী ও জহিরুন্নেসা বিবি কে নিজের সন্তানের দরজা দিয়ে বলেন, আমার দুই ছেলে ছিলো আজ থেকে তিন ছেলে হল, এদের সততাই আমি আমার পুরনো স্মৃতি র সব গহনা ফেরত পেয়েছি, আজ কালকের দিনে এমন টা কেউ করতো না।
অন্যদিকে চরম তৃপ্ত ও খুসী বরকত আলী ও জহিরুন্নেসা বিবি তারা প্রকৃত মালিক কে তাদের গহনা ফেরত দিতে পেরে।।

আরো পড়ুন