তারাপীঠে অন লাইনে পুজো কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করা হলো

তারাপীঠে অন লাইনে পুজো কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করা হলো

প্রীতম দাস তারাপীঠ :-

মাঝে আর একদিন। তারপরেই তারাপীঠে হবে কৌষিকী অমাবস্যা। ফলে ইতিমধ্যে তারাপীঠে সাজসাজ রব। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখে নিচ্ছেন। এদিকে কৌষিকী অমাবস্যায় অতিরিক্ত আয়ের উদ্দেশ্যে এক শ্রেণীর অসাধু চক্র অনলাইনে পুজো কর‍্যে দেওয়া নামে পুন্যার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মন্দির কমিটির। অসাধু চক্রের খপ্পর থেকে সাবধান হওয়ার আবেদন জানিয়েছে মন্দির কমিটি।
কথিত আছে মহিষাসুর বধের পর শুম্ভ-নিশুম্ভের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন স্বর্গের দেবতারা। শেষে দেবতারা মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন। সেই তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী নিজ কোষ থেকে উজ্জ্বল জ্যোতি বিচ্ছুরিত করে এক পরমাসুন্দরী দেবী মূর্তিতে আবির্ভূত হন। নিজ কোষ শরীর থেকে বের হওয়ার জন্য তিনি হলেন কৌশিকী। কৌশিকীদেবী আবার তারা ও কালীতে রূপান্তরিত হন। আবার শোনা যায় কৌশিকী অমাবস্যার দিন তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ফলে ওই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয় এবং কুম্ভস্নান করা হয়। এই বিশ্বাসে আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ওই দিনটিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন।
করোনা অতিমারির কারণে বছর দুয়েক কৌষিকী অমাবস্যায় তারাপীঠের মন্দির ছিল বন্ধ। ফলে এবার পুন্যার্থীদের ভিড় পাঁচ লক্ষাধিক হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। সেই মতো সমস্তরকম প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু মন্দিরে এক শ্রেণীর অসাধু চক্রের জন্য মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্দির কমিটির। মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কিছু অসাধু চক্র অন লাইনে পুজো দেওয়ার নামে সমাজমাধ্যমে প্রচার করে পুন্যার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আমরা পুন্যার্থীদের উদ্দেশ্যে সতর্ক করছি। কেউ প্রতারনায় পা দেবেন না। কোন রকম অনলাইন পুজোর ব্যবস্থা তারাপীঠ মন্দিরে নেই। যারা দূর দুরান্ত থেকে পুজো দিতে চান তারা নিজ নিজ সেবাইতের সঙ্গে যোগাযোগ করে মায়ের উদ্দেশ্যে পুজো দিতে পারেন”। একই বক্তব্য মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের।

আরো পড়ুন