দেগঙ্গার নন্দীপাড়া মহিলা খানে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

দেগঙ্গার নন্দীপাড়া মহিলা খানে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

সুদীপ্ত দাস :-

গত মার্চ মাসের ২৮ তারিখে সাত সকালে দেগঙ্গা নন্দীপাড়া কুচেয়ামোড়া এলাকায় মাঠের মধ্যে একটি পটল ক্ষেত থেকে রক্তাক্ত এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল জলের গ্লাস সহ একাধিক আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র উদ্ধার করে তদন্তকারী আধিকারিকরা এবং ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় এমনটি পুলিশের প্রাথমিক অনুমান থাকে এবং অবশেষে খুনের মামলা রুজু করা হয়। খুনের মামলা রুজু করে দেগঙ্গা থানার পুলিশ জানতে পারে ওই গৃহবধূর বাড়ি নদীয়া জেলার ধানতলা এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে বসিরহাটের মাটিয়া থানার নিষিদ্ধপল্লীতে যৌন কর্মীর কাজ করতো। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই মেয়েটির গৃহবধূর নাম লিপিকা রায়। তার পরিবারের লোক শকে খবর দেওয়া হয়। তাদের থেকে পুলিশ ফোন নাম্বার উদ্ধার করে। লিপিকা রায় নিহত ওই গৃহবধূর ফোন নাম্বারের কল সিডিআর করে পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত মুল আসামিকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম জোহর আলী মন্ডল কুচেমোড়ার বাসিন্দা।ধৃত জোহর আলী মন্ডল পুলিশের জেরায় জানিয়েছে লিপি কার সঙ্গে তার প্রায় দেড় বছরের সম্পর্ক ছিল।মাটিয়া নিষিদ্ধ পল্লীতে সেখানে যাতায়াত করতো।এরপরে লিপিকা মন্ডল তার থেকে কুড়ি হাজার টাকা নেই। সেই টাকা লিপিকা মন্ডল কিছুতেই জোহর আলিকে দিচ্ছিল না। এরপর খুনের রাতে ফোনে যোগাযোগ করে জোহর আলী জানায় লিপিকা তার সাথে এক রাত কাটালে সমস্ত টাকা পরিশোধ হয়ে যাবে। লিপিকা বারাসাতে থাকতো খুনের রাতে তাকে গোলাবাড়ি থেকে অটো করে বেড়াচাঁপা শতে নিয়ে আসে জোহর আলি। সেখান থেকে সাইকেলে করে কুচেমোড়া এলাকায় আম বাগানের মধ্যে পটল খেতে নিয়ে গিয়ে তাকে মদ্যপান করায় তার পরে তার গোপন অঙ্গে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে খুন করে।ধৃতকে আজ বারাসাত জেলা আদালতে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন