মিড ডে মিলে বাড়ালো বরাদ্দ, মেনুতে এল বিস্তর বদল,নতুন বরাদ্দ অর্থে কি আদ্দেও পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব? প্রশ্নচিহ্নের মুখে সরকার

মিড ডে মিলে বাড়ালো বরাদ্দ, মেনুতে এল বিস্তর বদল,নতুন বরাদ্দ অর্থে কি আদ্দেও পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব? প্রশ্নচিহ্নের মুখে সরকার

সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর গ্রামের মানুষের মন পেতেই খোদ রাজ্য সরকার মিড ডে মিল প্রকল্পে বাড়ালেন অর্থ। এতেই বিতর্ক বাড়ছে বিভিন্ন মহলে। বিজেপি অবশ্য দাবি করছে এতে রয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ। হঠাৎ কেন ভোটের মুখে এমন সিদ্ধান্ত প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

উল্লেখ্য,গত কালই মিড ডে মিলে  অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। শুধু ডাল, ভাত, সোয়াবিন নয়, এবার পড়ুয়াদের দিতে হবে ডিম, মুরগির মাংসও। থাকছে ফলের ব্যবস্থা । ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জানুয়ারি ২০২৩ থেকে এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত মিড ডে মিলে নতুন মেনু নির্ধারণ করা হয়েছে। বরাদ্দ বেড়েছে প্রতি সপ্তাহে পড়ুয়াপিছু ২০ টাকা করে। এখানেই প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি থেকে বিরোধী দলগুলিও।শিক্ষক সংগঠনের একাংশের দাবি, মাত্র ২০ টাকা বাড়িয়ে কীভাবে মাংস, ডিম বা মরসুমি ফল তুলে দেওয়া সম্ভব? এতেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষকরা।একধাক্কায় বরাদ্দ বেড়েছে অনেকটাই। ৩৭১ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হয়েছে এই মিড ডে মিল প্রকল্পে। মিড ডে মিলে পড়ুয়ারা যাতে মাংস, মরসুমি ফল ও ডিম পায়, তাই পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ হয়েছে সপ্তাহে ২০ টাকা। অর্থাৎ ৬ টি কাজের দিন ধরলে প্রতিদিন ৩ টাকা ৩৩ পয়সা। বর্তমান বাজার দরে এই টাকায় কি আর মাংস, ডিম জোটে? প্রশ্ন শিক্ষকদের একাংশের।

প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন মাইতির বক্তব্য, “৩ জানুয়ারি রাজ্যের মিড ডে মিল প্রজেক্ট ডিরেক্টর একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, কেন্দ্রের পোষণ প্রকল্পে ৩৭১ কোটি টাকা আরও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে চার মাসের জন্য। কিন্তু যা টাকা বাড়ানো হয়েছে তাতে কীভাবে এই নতুন খাবার দেওয়া সম্ভব বুঝতে পারছি না। ফলে বেজায় বিপাকে পড়তে হবে আমাদের। মরশুমি ফল একপিস কিনতে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ টাকা আর মুরগির মাংস ১৫০ টাকা কেজি কিভাবে কেনা সম্ভব সেটাই বড় চিন্তার!

আরেকটি শিক্ষক সংগঠনের দাবি,
আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, আমাদের এবার মিড ডে মিল থেকে অব্যহতি দিন। নাহলে ঠিকমতো টাকা দিন।সরকার যদি সত্যিই ছেলেমেয়েদের পুষ্টির কথা ভাবে তাহলে অবশ্যই কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ই বরাদ্দ বাড়ানোর দিকে নজর দিক এটাই আমাদের মূল দাবি।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট নয়, বাচ্চারা খাওয়া দাওয়া যাতে ঠিকমতো পায় তার জন্যই বাড়াতে হয়েছে। বাচ্চাগুলোর যাতে খাবারে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্যই বাড়ানো হয়েছে।” তবে পালটা কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ তিনি বলেন,”ভোট এলেই মনে পরে উনি এভাবেই সব ইলেকশন জিততে চান আর সেটা হবে না। ভোটের আগে মানুষের কষ্ট মনে পড়ে যায় মানুষকে ভাওতা বাজি দেখাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বরাদ্দ বাড়বে নাকি ধার্য করা অর্থেই পুষ্টিকর খাবার দাবার দেওয়া সম্ভব হবে সেটাই এখন দেখার।

আরো পড়ুন