সোনার কয়েন বিক্রির নামে ফের আড়াই লক্ষ টাকা প্রতারণা, ধৃত

সোনার কয়েন বিক্রির নামে ফের আড়াই লক্ষ টাকা প্রতারণা, ধৃত

ফের সোনার কয়েন বিক্রির নামে আড়াই লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে প্রতারককে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আড়াই লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিস। প্রতারকের কাছ থেকে আরও ২৯০টি নকল সোনার কয়েন উদ্ধার করেছে
পুলিস। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তকে বোলপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তকে চারদিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী ফিরোজ পাল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার বাসিন্দা অভিজিৎ সেনগুপ্তকে ফোন করে নিজেকে রাজমিস্ত্রির পরিচয় দেয় ধৃত যুবক রাশিদুল মির্জা। ফোনে সে জানায়, মুর্শিদাবাদে বাড়ির কাজ করতে গিয়ে মাটি খুঁড়ে সে এক ঘড়া স্বর্ণমুদ্রা পেয়েছে। যার মধ্যে ১২৫টি কয়েন আছে। সেগুলি আড়াই লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে চায়। লোভে পড়ে প্রতারকদের ফাঁদে পা দেন তিনি। ফোনে ঠিক হয়, গত বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনের কোপাই নদী সংলগ্ন গোয়ালপাড়ায় ‘অভিজিৎবাবুকে স্বর্ণমুদ্রা দেওয়া হবে। তিনি নির্দিষ্ট দিনে সেখানে পৌঁছলে ওই যুবক তাঁকে নগদ আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে সোনার কয়েন তুলে দেয়। তার সঙ্গে আরও দু’জন ছিল। কিন্তু তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় লুকিয়ে মোবাইলে ছবি তোলেন অভিজিৎবাবুর স্ত্রী সোনা সেনগুপ্ত। কলকাতায় ফিরে কয়েনগুলি পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর সোমবার সোমাদেবী শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস প্রতারকদের ছবি বিভিন্ন থানায় দেওয়ার পর একজনের খোঁজ পায়। এরপর রাশিদুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। রাশিদুলই কয়েন বিক্রির ঘটনায় দাগী অপরাধী হিসেবে পরিচিত। তার বাড়ি লাভপুর থানার হাতিয়া পঞ্চায়েতে। তাকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আড়াই লক্ষ টাকা ও ২১০টি নকল সোনার কয়েন উদ্ধার করেছে পুলিস। প্রসঙ্গত, এই হাতিয়া গ্রামে এর আগেও এমনই প্রতারণার ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। দুষ্কৃতীরা সুকৌশলে এই কাজ করে।

সোমাদেবী বলেন, রাজমিস্ত্রি সেজে ওরা আমার স্বামীকে ফোন করে। সহজ-সরলভাবে কথা বলে প্রথমে তারা আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে। তাদের কথা শুনে বিশ্বাস করেছিলাম। বিশেষ করে পুরনো স্বর্ণমুদ্রার ঐতিহাসিক মূল্য বেশি আছে বলে আড়াই লক্ষ টাকায় রফা হয়। তবে তাদের গতিবিধি ঠিক না লাগায় ছবি তুলেছিলাম। সেই ছবি পুলিসকে দিই। যা তদন্তে কাজে লেগেছে।

আরো পড়ুন