এসি, ফ্রিজ ব্যবহারে। আগাম জানাতে হবে।করতে হবে ফর্ম পূরণ,সিদ্ধান্ত বিদ্যুৎদপ্তরের।

এসি, ফ্রিজ ব্যবহারে। আগাম জানাতে হবে,করতে হবে ফর্ম পূরণ,সিদ্ধান্ত বিদ্যুৎদপ্তরের।

ফ্রিজ, এসি বা ওয়াশিং মেশিন ঘরে আনলে এবার থেকে জানাতে হবে বিদ্যুৎ দপ্তরকে। দপ্তরের পক্ষ থেকে কনজিউমার আইভি, মিটার নম্বর দিয়ে ফর্ম ফিলআপ করানো হবে। বিদ্যুৎদপ্তকে না জানিয়ে এই সমস্ত সামগ্রী কিনলে মোটা টাকা জরিমানা দিতে হবে। বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাহকরা আগাম না জানানোয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। কোন এলাকায় কত বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে তার হিসেব করে ট্রান্সফর্মার বসানো হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা ফ্রিজ, এসি বা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী কিনলে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। ট্রান্সফর্মারের উপর চাপ পড়ে। কিছুদিনের মধ্যে সেটি ই বিকল হয়ে যায়। সরকারের খরচ বাড়ে। আগাম তথ্য থাকলে। ট্রান্সফর্মারের বিদ্যুৎ ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়। সরকারের অতিরিক্ত টাকা খরচ হয় না।

এছাড়া এই সমস্ত সামগ্রী থাকলে নির্দিষ্ট অঙ্কের বিল পাঠানো হয়। তথ্য না থাকলে রাজস্ব আদায়ও কম হয়। সেক্ষেত্রে মিটারের ইউনিট ধরেই বিল পাঠাতে হয়। ফিক্সড চার্জ’ পাওয়া যায় না। সম্প্রতি বিদ্যুৎ দপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কোন এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে, তা বিশেষ টেকনোলজির মাধ্যমে আধিকারিকরা জানতে পারবেন। কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মিটার চেক করবেন। যদি কোথাও দেখা যায় নির্দিষ্ট পরিমাপের থেকে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে, সেখানকার গ্রাহকদের নোটিস করা হবে। গ্রাহকদের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করার অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করতে হবে। কোটেশনের জন্য টাকা জমা করতে হবে। নোটিস দেওয়ার পরেও ‘ফিক্সড চার্জের’ জন্য আবেদন না করলে জরিমানা করা হবে। বিলের সঙ্গে জরিমানার নোটিস পাঠানো হবে। টাকা না দিলে বিদ্যুতের লাইন কাটার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও ফ্রিজ ও এসির চাহিদা বেড়েছে। এবছর তীব্র গরম পড়ায় ফ্রিজ, এসি বিক্রি ব্যাপকহারে বেড়েছে। গত তিন বছরের মধ্যে এবারের মার্চ, এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ায় এধরনের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর

ব্যবহার বেড়েছে। গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও ওয়াশিং মেশিন। সহ বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে। কয়েকটি। এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। তারফলে ঘনঘন ট্রান্সফর্মার বিকল হচ্ছে। সেটি বদলাতে দেরি হলে কোথাও কোথাও রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভের মতো অপ্রীতিকর ঘটনাও হচ্ছে। কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা ট্রাদকর্মার বিরুলের আসল কারণ জানতে পারেন না। বিদ্যুৎ

নিয়ম অমান্য করলে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা

দপ্তরের কাছে আগাম তথ্য থাকালে এধরনের সমস্যা হয় না। আধিকারিকদের দাবি, রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। এবছর চাহিদা বাড়লেও সেই অর্থে কোথাও লোডশেডিং হয়নি।

আরো পড়ুন